নবম-দশম শ্রেণীর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (১১ ডিসেম্বর)

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, Srijonshil.com প্রকাশিত সৃজনশীল লেসনে তোমাদের স্বাগতম। আজ আমরা ৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত সৃজনশীল প্রশ্নটির নমুনা উত্তর আলোচনা করবো এবং সেইসাথে তোমাদের অনুশীলনের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের একটি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রকাশ করব।

আজকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (সাধারণ বিজ্ঞান)

নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

নিচের ছকে তিনটি দেশ A, B ও C এর জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেয়া আছেঃ

সময়সীমা

A

B

C

১ ডিসেম্বর ২০১০

জনসংখ্যা = ৫ কোটি

জনসংখ্যা = ৬ কোটি

জনসংখ্যা = ৭ কোটি

১ জুন ২০১০ – ৩১ মে ২০১১

স্থূল জন্মহার = ২৩.৭৫
স্থূল মৃত্যুহার = ২৩
বহিরাগমন হার = ৩
বহির্গমন হার = ৩.৫

স্থূল জন্মহার = ২৭
স্থূল মৃত্যুহার = ২৬.২০
বহিরাগমন হার = ২.২৫
বহির্গমন হার = ৩

স্থূল জন্মহার = ২১
স্থূল মৃত্যুহার = ২০.৭৫
বহিরাগমন হার = ১.২৫
বহির্গমন হার = ১

ক. স্থুল জন্মহার কাকে বলে?
খ. স্থূল জন্মহার স্থূল মৃত্যুহার থেকে বেশি হলেই কি একটি দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, ব্যাখ্যা করো।
গ. ১ জুন ২০১০ থেকে ৩১ মে ২০১১ সময়ে কোন দেশটির জীবন্ত শিশু জন্মানোর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “জনসংখ্যা বৃদ্ধির শূন্য হার বজায়ে উক্ত তিনটি দেশের মধ্যে B সবচেয়ে ভাল অবস্থায় এবং A সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে।” - উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

নমুনা উত্তরঃ

ক. কোনো বছরে মোট জীবন্ত শিশু জন্মের সংখ্যা এবং সেই বছরের মধ্যবর্তী সময়ের জনসংখ্যার অনুপাতকে স্থূল জন্মহার বলে।

খ. কোনো দেশের স্থূল জন্মহার স্থূল মৃত্যুহারের পার্থক্যকে বলা হয় ঐ দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার। কোনো দেশের স্থূল জন্মহার স্থূল মৃত্যুহারের তুলনায় বেশি হলে স্বাভাবিক কারণে ঐ দেশের জনসংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু কোনো দেশের জনসংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি আরও একটি কারণে হতে পারে। সেটি হলো দেশান্তর। দেশান্তর হলো বহিরাগমন ও বহির্গমনের পার্থক্য। কোনো দেশের বহিরাগমন বহির্গমনের চেয়ে কম হলে বুঝা যায় অন্যদেশ থেকে যত সংখ্যক লোক আসে তার চেয়ে বেশি সংখ্যক লোক বাহিরে চলে যায়। এইক্ষেত্রে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার বেশি হলেও মোট জনসংখ্যা কমতেও পারে।

গ.
জীবন্ত শিশু জন্মানোর সংখ্যা নির্ণয়

ঘ.

A দেশের স্থূল জন্মহার ও স্থূল মৃত্যুহার যথাক্রমে ২৩.৭৫ ও ২৩।
A দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (২৩.৭৫ – ২৩) = ০.৭৫
আবার বহিরাগমন হার ও বহির্গমন হার যথাক্রমে ৩ ও ৩.৫
সুতরাং নিট দেশান্তর হার = (৩ – ৩.৫) = – ০.৫
যেহেতু বহির্গমন হার বেশি তাই, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার হবে = (০.৭৫ – ০.৫) = ০.২৫

B দেশের স্থূল জন্মহার ও স্থূল মৃত্যুহার যথাক্রমে ২৭ ও ২৬.২০।
B দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (২৭ – ২৬.২০) = ০.৮০
আবার বহিরাগমন হার ও বহির্গমন হার যথাক্রমে ২.২৫ ও ৩
সুতরাং নিট দেশান্তর হার = (২.২৫ – ৩) = – ০.৭৫
যেহেতু বহির্গমন হার বেশি তাই, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার হবে = (০.৮০ – ০.৭৫) = ০.০৫

C দেশের স্থূল জন্মহার ও স্থূল মৃত্যুহার যথাক্রমে ২১ ও ২০.৭৫।
C দেশের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (২১ – ২০.৭৫) = ০.২৫
আবার বহিরাগমন হার ও বহির্গমন হার যথাক্রমে ১.২৫ ও ১
সুতরাং নিট দেশান্তর হার = (১.২৫ – ১) = ০.২৫
যেহেতু বহিরাগমন হার বেশি তাই, জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার হবে = (০.২৫ + ০.২৫) = ০.৫০

এইক্ষেত্রে তিনটি দেশের মধ্যে কোনোটিরই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শূন্য নয়। তবে, B দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম (০.০৫), যা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি। আবার, C দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি (০.৫০)।

তাই বলা যায়, প্রদত্ত উক্তিটি পুরোপুরি সত্য নয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির শূন্য হার বজায়ে উক্ত তিনটি দেশের মধ্যে B সবচেয়ে ভাল অবস্থায় থাকলেও C সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে, A নয়।

আজকের সৃজনশীল প্রশ্ন (পদার্থ বিজ্ঞান)

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ

নুসরাত খুব একটা রান্নাঘরে যায় না। কিন্তু এক শীতের বিকেলে তার মা তাকে চা বানাতে বললে সে পানি সহ কেটলি চুলায় চাপায়। পানির আনুমানিক ভর ও তাপমাত্রা ছিল 200 gm ও 16° C। পানি ফুটার পর সে কেটলিটি নামাতে গেলে একটু অসতর্কতার জন্য তার হাতে ছেঁকা লাগে। কিছুক্ষণ পর তার মা এসে দেখে চা বানাতে গিয়ে সে ঘেমে অস্থির।

ক. আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তাপের একক কী?
খ. তাপ সঞ্চালনের পরিবহন ও পরিচলন প্রক্রিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দুইটি পার্থক্য লিখো।
গ. প্রদত্ত ক্ষেত্রে কেটলির পানির তাপমাত্রা 96° C পৌঁছাতে কত তাপ লেগেছিল?
ঘ. “নুসরাত চা বানাতে গিয়ে তাপ সঞ্চালনের সবগুলো প্রক্রিয়ার ফল পেলো” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

প্রশ্নটির নমুনা উত্তর

প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা জানো, জাতীয়ভাবে নেয়া পরীক্ষাগুলোতে সৃজনশীল প্রশ্ন কখনও কমন পড়বেনা। এই ক্ষেত্রে তোমাদের দরকার পর্যাপ্ত অনুশীলন। সুতরাং পরীক্ষায় ভাল করতে হলে, এরকম সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান না দেখে নিজেই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করো এবং পরে আমাদের দেয়া উত্তরের প্রেক্ষিতে নিজের উত্তরটি যাচাই করো।

মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করো।