নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
নিচের চিত্রে একটি বাস্তুসংস্থানের বিভিন্ন উপাদান দেখানো হয়েছেঃ
ক. একটি বাস্তুসংস্থানে মূলত কতটি উপাদান থাকে?
খ. মানুষকে কেন সর্বভূক প্রাণী বলা হয়, ব্যাখ্যা করো।
গ. চিত্রে প্রদত্ত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত বাস্তুসংস্থানটি বর্ণনা করো।
ঘ. “বাস্তুসংস্থানটির বেশিরভাগ ব্যাঙ এক অজানা রোগে মারা গেলে প্রথম দিকে বাস্তুসংস্থানটির ভারসাম্য নষ্ট হলেও পরবর্তীতে এতে আবার নতুন করে ভারাসাম্য ফিরে আসবে।” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
নমুনা উত্তরঃ
ক. একটি বাস্তুসংস্থানে মূলত দুইটি উপাদান থাকে?
খ. আমরা জানি, অনেক প্রাণী আছে যারা একাধিক স্তরের খাদক। এদেরকে সর্বভুক প্রাণী বলে।
মানুষ বিভিন্ন রকম শাকসব্জি খায় বলে মানুষকে প্রথম স্তরের খাদক বলা যায়। যখন মানুষ ছাগলের মাংস খায়, তখন মানুষকে দ্বিতীয় স্তরের খাদক হিসেবে গণ্য করা যায়। আবার মানুষ যখন বড় মাছ খায় তখন এদের তৃতীয় স্তরের খাদক হিসেবে গণ্য করা যায়। এইভাবে মানুষ বিভিন্ন স্তরের খাদক বলে মানুষকে সর্বভুক প্রাণী বলা হয়।
গ. চিত্রে প্রদত্ত উপাদানগুলো নিয়ে নিম্নরূপে একটি বাস্তুসংস্থান গড়ে উঠেঃ
অজীব উপাদানঃ চিত্রে প্রদত্ত অজীব উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে পানি, খনিজ লবণ, CO2, O2, N2 । সূর্যালোকের উপস্থিতিতে সবুজ উদ্ভিদ এই পানি, CO2 থেকে খাদ্য তৈরি করে। এইছাড়াও সবুজ উদ্ভিদ বিভিন্ন খনিজ লবণ পুষ্টির জন্য গ্রহণ করে।
উৎপাদকঃ চিত্রে প্রদত্ত ঘাস বাস্তুসংস্থানটির উৎপাদক। এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করে এবং অন্যান্য সব জীব এদের উপর জীবন ধারন করে।
খাদকঃ চিত্রে প্রদত্ত ঘাসফড়িং, ব্যাঙ ও সাপ খাদক পর্যায়ভুক্ত। এই খাদক স্তরকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-
প্রথম স্তরের খাদকঃ এইখানে ঘাসফড়িং সরাসরি উদ্ভিদ খেয়ে জীবন ধারন করে। আমরা জানি, উদ্ভিদভোজী সব প্রাণী প্রথম স্তরের খাদক। তাই এখানে ঘাসফড়িং প্রথম স্তরের খাদক।
দ্বিতীয় স্তরের খাদকঃ চিত্রে প্রদত্ত ব্যাঙ প্রথম স্তরের খাদক ঘাসফড়িং খেয়ে জীবন ধারন করে। আমরা জানি, যে সব প্রাণী প্রথম স্তরের খাদক আহার করে তাদেরকে দ্বিতীয় স্তরের খাদক বলে। তাই এখানে ব্যাঙ একটি দ্বিতীয় স্তরের খাদক।
তৃতীয় স্তরের খাদকঃ চিত্রে প্রদত্ত সাপ দ্বিতীয় স্তরের খাদক ব্যাঙ খায়। আমরা জানি, যে সব প্রাণী দ্বিতীয় স্তরের খাদক আহার করে তাদেরকে তৃতীয় স্তরের খাদক বলে। তাই এখানে সাপ একটি তৃতীয় স্তরের খাদক।
বিয়োজকঃ চিত্রে প্রদত্ত মৃতজীবী ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া বিয়োজকরূপে কাজ করে। ঘাস, ঘাসফড়িং, ব্যাঙ, সাপ প্রভৃতির মৃত্যু ঘটলে এদের উপর বিয়োজকগুলো ক্রিয়া করে অজৈব পদার্থ ও লবণ মুক্ত করে। প্রাকৃতিক নিয়মে এইসব বিয়োজিত পদার্থ ও লবণ আবার ঘাস তথা সবুজ উদ্ভিদ গ্রহণ করে।
ঘ. চিত্রে প্রদত্ত ব্যাঙ দ্বিতীয় স্তরের খাদক। এরা ঘাসফড়িং খায়। তাই যদি কোনো অজানা রোগে বেশিরভাগ ব্যাঙ মারা যায়, তবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তুসংস্থানটির ভারসাম্য নিম্নরূপে নষ্ট হবেঃ
কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে, বাস্তুসংস্থানটিতে নিম্নরূপে আবার ভারসাম্য ফিরে আসবেঃ
এইভাবে অনেক ব্যাঙ মারা যাওয়ার পর প্রথম দিকে বাস্তুসংস্থানটিতে একটু ভারসাম্য নষ্ট হলেও পরবর্তীতে বাস্তুসংস্থানটিতে আবার নতুন করে ভারাসাম্য ফিরে আসবে।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
A, B, C, D, E, ও F হলো ছয়টি মৌলের কাল্পনিক প্রতীক। মৌলগুলোর পারমাণবিক সংখ্যা যথাক্রমে 4, 5, 7, 9, 10, 12।
ক. প্রদত্ত মৌলগুলোর মধ্যে কোন মৌলটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস?
খ. A মৌলটি একটি ধাতু কেন,ব্যাখ্যা করো।
গ. D ও F মৌলের মধ্যে কীভাবে রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হবে, ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “প্রদত্ত মৌলগুলোর মধ্যে A এর পারমাণবিক আকার সবচেয়ে কম এবং F এর পারমাণবিক আকার সবচেয়ে বেশি” – উক্তিটি মূল্যায়ন করো।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা জানো, জাতীয়ভাবে নেয়া পরীক্ষাগুলোতে সৃজনশীল প্রশ্ন কখনও কমন পড়বেনা। এই ক্ষেত্রে তোমাদের দরকার পর্যাপ্ত অনুশীলন। সুতরাং পরীক্ষায় ভাল করতে হলে, এরকম সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান না দেখে নিজেই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করো এবং পরে আমাদের দেয়া উত্তরের প্রেক্ষিতে নিজের উত্তরটি যাচাই করো।
মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করো।