প্রিয় শিক্ষার্থীরা, Srijonshil.com প্রকাশিত সৃজনশীল লেসনে তোমাদের স্বাগতম। আজ আমরা ২৫ অক্টোবর প্রকাশিত সৃজনশীল প্রশ্নটির নমুনা উত্তর আলোচনা করবো এবং সেইসাথে তোমাদের অনুশীলনের জন্য পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের একটি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রকাশ করব।
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
একটি ফ্যাক্টরিতে অবিশুদ্ধ Zn থেকে Zn বিশুদ্ধ করার জন্য নিচের মত একটি তড়িৎ কোষের সাহায্য নেয়া হলঃ
ক. কোন তড়িৎদ্বারে বিজারণ ঘটে?
খ. খাবার লবণকে গলিত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষণ করা গেলেও গলিত গ্লুকোজকে করা যায়না কেন?
গ. প্রদত্ত তড়িৎ বিশ্লেষণ কোষে সংঘটিত বিক্রিয়াগুলি দেখাও।
ঘ. যদি ভুল করে তড়িৎদ্বারে তড়িৎ সংযোগ উলটো করে দেয়া হত তাহলে কী সমস্যা হত, তা বিশ্লেষণ কর।
নমুনা উত্তরঃ
ক. ক্যাথোড তড়িৎদ্বারে বিজারণ ঘটে।
খ. যে সকল যৌগ বিগলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং সেই সাথে তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাদেরকে তড়িৎ বিশ্লেষ্য বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষ্য যৌগের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষণ করা যায়।
সকল আয়নিক যৌগ তড়িৎ বিশ্লেষ্য। যেহেতু খাবার লবণ আয়নিক, সেহেতু এটির গলিত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষণ করা যায়। কিন্তু চিনি সমযোজী যৌগ হওয়ায় গলিত অবস্থায় আয়নিত হতে পারে না এবং বিদ্যুৎ পরিবহন করে না। তাই খাবার লবণকে গলিত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষণ করা গেলেও চিনিকে গলিত অবস্থায় তড়িৎ বিশ্লেষণ করা যায় না।
গ. উক্ত তড়িৎ কোষে দ্রবণের জিংক সালফেট বিয়োজিত হয়ে জিংক আয়ন মুক্ত করবে।ঘ. যদি প্রদত্ত তড়িৎদ্বারে তড়িৎ সংযোগ উলটো করে দেয়া হয় সেক্ষেত্রে অবিশুদ্ধ জিংকের তড়িৎদ্বারটি ক্যাথোড হিসেবে এবং বিশুদ্ধ জিংকের এর তড়িৎদ্বারটি অ্যানোড হিসেবে কাজ করবে।
এইক্ষেত্রে তড়িৎ বিশ্লেষণ করলে দ্রবণ হতে জিংক সালফেট বিয়োজিত হয়ে জিংক আয়ন মুক্ত করবে।
এই জিংক আয়ন ক্যাথোডে (অবিশুদ্ধ Zn দন্ড) গিয়ে দুইটি ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হবে এবং বিশুদ্ধ জিংক হিসেবে এতে সঞ্চিত হবে।
অপরদিকে অ্যানোড (বিশুদ্ধ Zn দন্ড) থেকে প্রতিটি জিংক পরমানু দুইটি ইলেকট্রন ছেড়ে দিয়ে জারিত হবে দ্রবণে জিংক আয়ন হিসেবে চলে আসবে।এইভাবে বিশুদ্ধ জিংক দন্ডটি ক্ষয় হতে থাকবে।
যেহেতু জিংক পরমানুগুলো বিশুদ্ধ জিংক দন্ডে না জমে অবিশুদ্ধ জিংক দন্ডে জমতে থাকে, সেহেতু যে উদ্দ্যেশে এই তড়িৎকোষটি তৈরি করা হয়েছে, সেটি আর সম্ভব হবেনা। অর্থাৎ এইভাবে তড়িৎ সংযোগ দিলে জিংককে বিশুদ্ধ করা যাবে না।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
স্বপন তার ছোট ভাইকে নিয়ে এক শীতের সকালে তাদের স্কুল মাঠে দৌড় প্রতিযোগিতা করতে গেলো। সে যখন তার ভাইয়ের সাথে কথা বলছিল তখন খেয়াল করল তার কথার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। স্কুল বিল্ডিং থেকে 75 m দূরে থাকা অবস্থায় কথা বলার 0.40 s পর প্রতিধ্বনি তার কানে আসছিল। স্কুল বিল্ডিং-এর দিকে এগোতে থাকলে সে একসময় আর প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছিল না। একই রকম শব্দ সে যখন ঐদিন দুপুর বেলা (যখন বায়ু শুষ্ক ও তাপমাত্রা 30°C ছিল) করল, তখন সকাল বেলা যেখান থেকে প্রতিধ্বনি শুনতে পাচ্ছিল না,ঠিক সেখান থেকেই প্রতিধ্বনি শুনতে পারলো।
ক. শব্দ উৎপত্তির কারণ কী?
খ. মহাকাশে কোনো রকম বিস্ফোরণ ঘটলে তার শব্দ আমরা শুনতে পাই না কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত দিনে সকাল বেলায় শব্দের বেগ কত ছিল?
ঘ. প্রতিধ্বনি শোনার ব্যাপারে একই জায়গায় স্বপনের দুই রকম অভিজ্ঞতা হলো কেন, বিশ্লেষণ করো।
মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করো।