নিচের উদ্দীপকটি পড়ো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
আকাশ ১ নম্বর চিত্রে দেখানো স্লাইড ক্যালিপার্স দিয়ে একটি দন্ডের দৈর্ঘ্য মেপে দেখল এর দৈর্ঘ্য 3.025 cm. (২য় চিত্রে দেখানো হলো)
ক. প্রথম চিত্রের ‘A’ চিহ্নিত অংশটির নাম কী?
খ. দন্ডটির দৈর্ঘ্য পরিমাপে আকাশ সাধারণ মিটার স্কেল ব্যবহার না করে স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহার করেছে কেন?
গ.চিত্রের স্লাইড ক্যালিপার্সটির ভার্নিয়ার ধ্রুবক নির্ণয় করো।
ঘ. আকাশের পরিমাপটি ঠিক আছে কিনা - বিশ্লেষণ করো।
নমুনা উত্তরঃ
ক. ‘A’ চিহ্নিত অংশটির নাম হলো ভার্নিয়ার স্কেল।
খ.আমরা জানি, সাধারণ মিটার স্কেলে মিলিমিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্য মাপা যায়। স্লাইড ক্যালিপার্স (যা ভার্নিয়ার স্কেলের একটি বিশেষ রূপ)দিয়ে মিলিমিটারের ভগ্নাংশ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ঠিকভাবে পরিমাপ করা যায়।
এখানে আকাশ স্লাইড ক্যালিপার্স দিয়ে মেপে দেখল, দন্ডটির দৈর্ঘ্য 3.025 cm.। অর্থাৎ এর দৈর্ঘ্য 3 cm. 0.25 mm.। সাধারণ মিটার স্কেল দিয়ে মাপলে এই 0.25 mm.দৈর্ঘ্য মাপা সম্ভব হতোনা। সুতরাং বলা যায় সূক্ষ্মভাবে মাপার প্রয়োজনে আকাশ স্লাইড ক্যালিপার্স ব্যবহার করেছে।
গ. আমরা জানি, ভার্নিয়ার ধ্রুবক =
এখানে, n = ভার্নিয়ার স্কেলের মোট ঘরের সংখ্যা = 20
আবার, মূল স্কেলে প্রতি 1 cm.দৈর্ঘ্যকে 10 টি ছোট ছোট ঘরে ভাগ করা হয়েছে।
তাহলে, মূল স্কেলের এক ঘরের দৈর্ঘ্য = 0.1 cm.
অতএব, স্লাইড ক্যালিপার্সটির ভার্নিয়ার ধ্রুবক =
ঘ. আমরা জানি,
ভার্নিয়ার পাঠের মান = ভার্নিয়ার স্কেলের পাঠ x ভার্নিয়ার ধ্রুবক
দ্বিতীয় চিত্রে, ভার্নিয়ার স্কেলের 5 নম্বর দাগটি মূল স্কেলের একটি দাগের সাথে মিলে গেছে।
সুতরাং, ভার্নিয়ার পাঠের মান = 5 x 0.005 cm.
[ভার্নিয়ার ধ্রুবক = 0.005 cm.]
= 0.025 cm.
আবার আমরা জানি,
কোনো দন্ডের দৈর্ঘ্যের আপাত পাঠ = মূল স্কেলের পাঠ + ভার্নিয়ার পাঠের মান
দ্বিতীয় চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মূল স্কেলের পাঠ = 3 cm.
সুতরাং, দন্ডটির দৈর্ঘ্যের আপাত পাঠ = 3 cm.+ 0.025 cm
= 3.025 cm.
আবার, স্লাইড ক্যালিপার্সের প্রকৃত পাঠ = আপাত পাঠ - ( ± যান্ত্রিক ত্রুটি)
চিত্র ১ এ দেখা যাচ্ছে, ভার্নিয়ার স্কেলের শূন্য দাগটি মূল স্কেলের শূন্য দাগের ডান দিকে আছে এবং ভার্নিয়ার স্কেলের 5 নম্বর দাগটি মূল স্কেলের একটি দাগের সাথে মিলে গেছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে যান্ত্রিক ত্রুটি ধনাত্মক এবং এর মান = ভার্নিয়ার স্কেলের পাঠ x ভার্নিয়ার ধ্রুবক
= (5 x 0.005) cm.
= 0.025 cm.
তাহলে দন্ডটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য হবে = 3.025 cm. – 0.025 cm.
= 3 cm.
তাই বলা যায়, আকাশ দন্ডটির যে দৈর্ঘ্য নির্ণয় করেছে সেটি হলো এর আপাত দৈর্ঘ্য। দন্ডটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য হলো 3 cm.।
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
নিচের টেবিলে A ও B মৌলের মধ্যে গঠিত যৌগের ৪ টি নমুনার আলাদা আলাদাভাবে মোট ভর দেওয়া আছে এবং সেই সাথে ৩ টি নমুনার ক্ষেত্রে B এর ভর দেয়া আছে।
|
মোট ভর |
B এর ভর |
১ম নমুনা |
60 gm |
30 gm |
২য় নমুনা |
90 gm |
60 gm |
৩য় নমুনা |
120 gm |
90 gm |
৪র্থ নমুনা |
40 gm |
? |
ক. রাসায়নিক সংযোগ সূত্র কতটি?
খ. ভরের নিত্যতা সূত্রটি ব্যাখ্যা করো।
গ. ১ম নমুনা ও ৪র্থ নমুনা যদি একই যৌগের হয়, সেক্ষেত্রে প্রদত্ত সারণিতে প্রশ্নবোধক স্থানে (?) কত মান বসবে তা নিরূপণ করো।
ঘ. ১ম, ২য় ও ৩য় নমুনার ক্ষেত্রে প্রদত্ত উপাত্তগুলি কোন রাসায়নিক সংযোগ সূত্রটি সমর্থন করে, নির্ণয় করো।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা জানো, জাতীয়ভাবে নেয়া পরীক্ষাগুলোতে সৃজনশীল প্রশ্ন কখনও কমন পড়বেনা। এই ক্ষেত্রে তোমাদের দরকার পর্যাপ্ত অনুশীলন। সুতরাং পরীক্ষায় ভাল করতে হলে, এরকম সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান না দেখে নিজেই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করো এবং পরে আমাদের দেয়া উত্তরের প্রেক্ষিতে নিজের উত্তরটি যাচাই করো।
মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করো।