প্রিয় শিক্ষার্থীরা, Srijonshil.com প্রকাশিত সৃজনশীল লেসনে তোমাদের স্বাগতম। আজ আমরা গতদিন প্রকাশিত সৃজনশীল প্রশ্নটির নমুনা উত্তর আলোচনা করব এবং সেইসাথে তোমাদের অনুশীলনের জন্য আরও একটি সৃজনশীল প্রশ্ন প্রকাশ করব।
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
আকাশ নিচের লিভারটির A প্রান্তে তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ১০০ নিউটন বল প্রয়োগ করে B প্রান্ত দিয়ে ৫০০ নিউটনের একটি ভার উঠানোর চেষ্টা করছে।
ক. ফালক্রাম কাকে বলে?
খ. প্রদত্ত লিভারটি কোন শ্রেণীর লিভার? – ব্যাখ্যা করো।
গ. আকাশের প্রযুক্ত বলে লিভারটির B প্রান্তে কত বল পাওয়া যাবে?
ঘ. এই লিভারটিতে কোনো রকম পরিবর্তন এনে আকাশের পক্ষে কাজটি করা সম্ভব হবে কিনা - বিশ্লেষণ করো।
নমুনা উত্তরঃ
ক. যে বিন্দু বা রেখাকে কেন্দ্র করে লিভার ওঠানামা করে বা ঘোরে তাকে ফালক্রাম বলে।
খ. আমরা জানি, যে লিভারে ফালক্রাম; বল ও ভারের মাঝে থাকে তাকে প্রথম শ্রেণীর লিভার বলে।
প্রদত্ত লিভারটির A প্রান্তে বল প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং B প্রান্ত দিয়ে ভার উত্তোলন করা হচ্ছে। এবং এইক্ষেত্রে ফালক্রাম C বল ও ভারের মাঝে আছে। তাই প্রদত্ত লিভারটি একটি প্রথম শ্রেণীর লিভার।
গ. আমরা জানি, লিভার যে মূলনীতি মেনে কাজ করে তা হলোঃ
এইখানে, বল বাহুর দৈর্ঘ্য = ৮০ মিটার
ভার বাহুর দৈর্ঘ্য = ২০ মিটার
বল = A বিন্দুতে প্রযুক্ত বল = ১০০ নিউটন
ভার = B বিন্দুতে প্রাপ্ত বল = ?
= ৪০০ নিউটন
সুতরাং আকাশের প্রযুক্ত বলে লিভারটির B প্রান্তে ৪০০ নিউটন বল পাওয়া যাবে।
ঘ. আকাশকে যে বস্তুটি ওঠাতে হবে তার ভার হলো = ৫০০ নিউটন
কিন্তু বর্তমান লিভারে, আকাশ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ৪০০ নিউটন বল উৎপন্ন করতে পারে।
এইক্ষেত্রে লিভারটিতে ফালক্রামের স্থান পরিবর্তন করে সে হয়তো এই কাজটি করতে পারবে।
ধরি A প্রান্ত থেকে p মিটার দূরত্বে ফালক্রামটি রাখলে আকাশ তার কাজটি সম্পন্ন করতে পারবে।
এইক্ষেত্রে বল বাহুর দৈর্ঘ্য হবে p মিটার এবং ভারবাহুর দৈর্ঘ্য হবে (১০০ – p)মিটার [যেহেতু দন্ডটির দৈর্ঘ্য = (৮০ + ২০ মিটার) = ১০০ মিটার]
তাহলে আমরা পাই,
অথবা, ১০০ x p = ৫০০ x (১০০ – p)
অথবা, ১০০p = ৫০০০০ – ৫০০p
অথবা, ১০০p + ৫০০p = ৫০০০০
অথবা, ৬০০p = ৫০০০০
অথবা, p = ৫০০০০/৬০০
অথবা, p = ৮৩.৩৩
সুতরাং ফালক্রামটি B প্রান্তের দিকে আরও (৮৩.৩৩ – ৮০) মিটার বা ৩.৩৩ মিটার সরিয়ে আকাশ তার কাজটি করতে পারবে।
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করো ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
নিচের চিত্রে একটি বাস্তুসংস্থানের বিভিন্ন উপাদান দেখানো হয়েছেঃ
ক. ইকোসিস্টেম কাকে বলে?
খ. একটি হরিণ কোন স্তরের খাদক এবং কেন, ব্যাখ্যা করো।
গ. চিত্রে প্রদত্ত উপাদানগুলো নিয়ে গঠিত বাস্তুসংস্থানটি বর্ণনা করো।
ঘ. “বাস্তুসংস্থানটির বেশিরভাগ সাপ এক অজানা রোগে মারা গেলে প্রথম দিকে বাস্তুসংস্থানটির ভারসাম্য নষ্ট হলেও পরবর্তীতে এতে আবার নতুন করে ভারাসাম্য ফিরে আসবে।” – উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা জানো, জাতীয়ভাবে নেয়া পরীক্ষাগুলোতে সৃজনশীল প্রশ্ন কখনও কমন পড়বেনা। এই ক্ষেত্রে তোমাদের দরকার পর্যাপ্ত অনুশীলন। সুতরাং পরীক্ষায় ভাল করতে হলে, এরকম সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান না দেখে নিজেই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করো এবং পরে আমাদের দেয়া উত্তরের প্রেক্ষিতে নিজের উত্তরটি যাচাই করো।
মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করো।